খুলনা, বাংলাদেশ | ১৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  প‌বিত্র ঈদুল ফিতর আজ। আমা‌দের অগ‌ণিত পাঠক, দর্শক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীকে খুলনা গে‌জেট প‌রিবা‌রের পক্ষ থে‌কে শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক

অবৈধ নিয়োগের মামলায় যবিপ্রবির সাবেক ভিসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

দুদকের দায়েরকৃত দুর্নীতির মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাখিল করা চার্জশিটের ওপর শুনানি শেষে সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার, উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) ড. কামাল উদ্দিন।

অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদান এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল আমিন। মামলার তদন্ত শেষে তাদের অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার, আরেক সদস্য ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন। একই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আরও তিন প্রার্থী অংশ নেন। তবে কাউকে পাস করানো হয়নি।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও বাছাই বোর্ড তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি বিবেচনায় তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বিভাগীয় প্রার্থীর সুবিধা গ্রহণ করেন এবং ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে, পরে ২০২১ সালে উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগ পান। অবৈধ নিয়োগের ফলে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি বেতন-ভাতা বাবদ ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন। এ মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!